Header Ads Widget

শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করুন ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম জানতে চাই। তাহলে পোস্টটি দেখে নিন। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা যায় তাও আবার ঘরে বসে নিজের মোবাইল দিয়ে। আপনি যদি এ বিষয়ে সম্পূর্ণ জানতে চান তাহলে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন

আগে একটা সময় ছিল যখন আমরা প্রিন্ট করা একটা ফরম পূরণ করার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন করে নিতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের online birth certificate registration করতে হয়। এমনকি যারা আগে হাতে লিখে করেছেন তাদেরকেও নতুন করে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে হবে। আবার যারা এখনো করেননি তাদের কেও বর্তমানে করে নিতে হবে। তাই আমরা জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার জন্য বিভিন্ন দোকানে বা কারো সাহায্য নিয়ে থাকি।

কিন্তু আপনি চাইলে খুব সহজে নিজেই ঘরে বসে জন্ম সনদ অনলাইনে করতে পারবেন তাও আবার মোবাইল দিয়ে। এর জন্য শুধুমাত্র আমার দেখানো নিয়মগুলো অনুসরণ করুন। তাহলে আপনাকে টাকা খরচ করে কোন দোকান থেকে আবেদন করাতে হবে না। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন করার আগে আপনাকে দুটি ডকুমেন্টস প্রস্তুত করে রাখতে হবে। আপনি যখনই আবেদন করতে যাবেন আপনাকে এদুটি ডকুমেন্টস সাবমিট করতে হবে। একটি হলো যার জন্য জন্ম নিবন্ধন করা হবে তার পিতা বা মাতা যেকোন একজনের ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্যটি হলো যার নামে জন্ম নিবন্ধন করা হবে তার এসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা জেএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা ডাক্তারের কোন প্রত্যয়ন পত্র। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তাদের টিকা কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে। এই দুটি ডকুমেন্ট আপনাকে স্ক্যান করে ছবি বানিয়ে নিতে হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করা

আপনি চাইলে খুব সহজে মোবাইল দিয়ে এই ডকুমেন্টগুলো স্ক্যান করে ছবি বানিয়ে নিতে পারবেন। এর জন্য আপনি চাইলে আমার আগের একটি পোষ্ট পড়ে নিতে পারেন। পোষ্টের লিংক - মোবাইল দিয়ে স্ক্যানারের ব্যবহার। এখানে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে ছবি গুলোর সাইজ ১০০ কেবি এর বেশি হতে পারবে না। এই জিনিসটি আপনাকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। যদি ১০০ কেবির বেশি হয়ে থাকে তাহলে এটি আপলোড করতে পারবেন না। আপনি যদি কোন ছবির সাইজ ছোট করতে চান তাহলে একটি টিপস ফলো করতে পারেন। এই টিপসটি হল আপনি চাইলে স্ক্যান করার পর ছবিটি ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার বা ইমুতে অন্য কাউকে সেন্ড করুন। তারপর সেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে নিন। এতে করে আপনার ছবির সাইজ অনেকটা কমে যাবে।

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করার নিয়ম

এতক্ষণ আমরা জেনেছি online birth certificate registration করার জন্য কোন কোন ডকুমেন্ট গুলো দরকার হয়। এবার আমরা জেনে নিব জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম। ডকুমেন্টগুলো রেডি করে আপনার মোবাইলে নেওয়ার পর আপনাকে একটি ওয়েবসাইটে যেতে হবে। ওয়েব সাইটের লিংকটি হলো bdrish gov bd। এই ওয়েবসাইটে আসার পর প্রথমে আপনি তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা। এর অর্থ হলো আপনি কোন জায়গা থেকে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করছেন। আপনি যদি জন্মস্থান থেকে করে থাকেন তাহলে জন্মস্থান সিলেক্ট করুন। তারপর নিচে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

এবার আপনি একটি birth registration online ফরম পাবেন। এ ফার্মের মধ্যে আপনাকে সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিতে হবে। এই তথ্যগুলো হলো - আপনার নিজে নামের প্রথম অংশ, শেষ অংশ বাংলা এবং ইংরেজিতে, তারপর আপনার জন্ম তারিখ। আপনার জন্ম তারিখ সিলেক্ট করার সাথে সাথে আপনাকে একটা নোটিফিকেশন দেখিয়ে বলবে আপনার কাছে ডকুমেন্ট গুলো আছে কিনা। যেহেতু আপনার কাছে ডকুমেন্ট গুলো আছে সেহেতু আপনি হ্যাঁ বাটনে ক্লিক করুন। তারপর আপনি আপনার পিতা-মাতার কততম সন্তান এটি সিলেক্ট করবেন, আপনার লিঙ্গ সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার ঠিকানা গুলো সঠিকভাবে বসিয়ে নিন। এখানে আপনাকে সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিতে হবে। এসব তথ্য দেওয়ার পর নিচে যে পরবর্তী বাটন আছে এটাতে ক্লিক করুন।

এবার আপনি আরেকটি ফরম পাবেন। এই ফরমের মধ্যে আপনার পিতা-মাতার তথ্য গুলো দিতে হবে। শুধুমাত্র আপনার পিতা-মাতার নাম, জাতীয়তা এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের (NID) নম্বর দিলেই হবে। আর কোনো তথ্যের প্রয়োজন হবে না। আগে একটি নিয়ম ছিল যদি ২০০০ সালের পরবর্তীতে জন্ম নেয়া কোন ছেলে বা মেয়ের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে আগে পিতা-মাতার birth registration online করে নিতে হবে। তারপর ওই পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এখানে অবশ্যই দিতে হবে। কিন্তু বর্তমানে পিতা-মাতার কোন ডকুমেন্ট ছাড়া আবেদন করা যাবে। তারপর নিচের পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন

এবার আপনাকে বলা হবে আপনি যে ঠিকানাটি উল্লেখ করেছেন এই ঠিকানাগুলো আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করবেন কিনা। এখানে আপনি কোনটি নয় বাটনে ক্লিক করবেন। তাহলে ঠিকানা লেখার জন্য কিছু বক্স পাবেন। আবার উপরে প্রদত্ত ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা একই নামে অপশন পাবেন। আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তাহলে এগুলো পূরণ করে নিন। নয়তো ঠিকানা একই লেখার পাশে টিক মার্ক দিন। তারপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

এ পর্যায়ে এসে আপনাকে বলবে আপনি যে আবেদন করছেন এটি নিজের জন্য করছেন না অন্য কারো জন্য। আপনি যদি নিজের জন্য করে থাকেন তাহলে নিজ সিলেক্ট করে দিন। আর যদি অন্য কারো জন্য করে থাকেন তাহলে অন্যান্য সিলেক্ট করুন। এখানে নিজ সিলেক্ট করলে নিজের বা অন্যান্য সিলেক্ট করলে তার বাবা বা মায়ের মোবাইল নাম্বারসহ বাকি ইনফরমেশন গুলো দিয়ে দিন। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে আপনার প্রদত্ত এ মোবাইল নাম্বারটিতে একটি নম্বর পাঠানো হবে। আর ওই নাম্বারটি হবে আপনার আবেদন নম্বর।

তারপর নিচে দেখুন সংযুক্তি নামে একটি বাটন রয়েছে। এই বাটনটিতে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার ফোনের গ্যালারি থেকে ছবি সিলেক্ট করার অপশন পাবেন। এবার গ্যালারি থেকে আপনি যে দুটি ডকুমেন্ট রেডি করে দেখেছেন এখান থেকে একটি সিলেক্ট করে দিন। তারপর আপনি কিছু অপশন দেখতে পাবেন। প্রথমে File type নামে একটি বক্স রয়েছে। এই বক্সে ক্লিক করে আপনি কোন ডকুমেন্ট সাবমিট করেছেন তা সিলেক্ট করে দিন। আপনি যদি আপনার পিতা-মাতার এনআইডি কার্ড আপলোড দিয়ে থাকেন তাহলে এটি সিলেক্ট করে দিন। তারপর পাশে স্টার্ট বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে ডকুমেন্টটি আপলোড হয়ে যাবে। এভাবে অন্য ডকুমেন্টটিও আপলোড করে নিন। তারপর নিচে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

এবার আপনাকে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ফরমটি আপনার সকল তথ্যসহ দেখাবে। এবার প্রিন্ট বাটন এ ক্লিক করুন। তারপর আপনার মোবাইলে এটি সেভ করে নিন। ফরমটি সাবমিট করার সাথে সাথে আপনার বা আবেদনকারীর প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে একটি আবেদন নাম্বার পাঠানো হবে। এই নাম্বার টি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে। কারন এটি ব্যবহার করে আপনি পরবর্তীতে যেকোনো জায়গা থেকে আপনার আবেদনপত্রটি প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

Birth registration online apply করার ১৫ দিনের মধ্যে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করে আপনার ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে নিতে হবে। এভাবেই আপনি খুব সহজে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে নিতে পারবেন। এগুলো করতে যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে নিচে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে পারেন। এতক্ষণ সময় দিয়ে এ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিয়মিত এমন আরো পোস্ট পেতে চাইলে আমাদের সাথে থাকুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ