Header Ads Widget

শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

এন্ড্রয়েড মোবাইল রিসেট করার নিয়ম | How To Reset Phone

মোবাইল রিসেট করার নিয়ম জানতে চান? তাহলে এই পোস্টটি দেখে নিন। এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাকে দেখানো হবে কিভাবে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল রিসেট করা যায়। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি ভালোভাবে দেখে নিন।

মোবাইল-রিসেট-করার-নিয়ম

বর্তমানে আমরা সবাই এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যাবহার করে থাকি। আমাদের মোবাইল দিয়ে আমরা নানাবিধ কাজ করে থাকি। আবার বিভিন্ন কাজের সুবিধার্থে আমরা আমাদের ফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ইন্সটল করে থাকি। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ফোনে অতিরিক্ত অ্যাপস এবং অতিমাত্রায় বা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ব্যবহারের কারণে আমাদের ফোন স্লো হয়ে যায়। শুধু তাই নয় অনেক সময় আমাদের ফোনের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

এসব সমস্যার কারণে আমরা অনেক সময়ই স্থির করি আমাদের মোবাইল ফ্যাক্টরি রিসেট করব। কিন্তু অনেকেই মোবাইল রিসেট করার নিয়ম জানে না। আবার অনেকে কিন্তু জানেনা ডাটা ফ্যাক্টরি রিসেট ফ্যাক্টরি রিসেট জিনিসটা কি? এটি হলো এমন একটি সেটিং যার মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনটি রিসেট করে নিতে পারবেন। আমাদের সবার ফোনে ডাটা ফ্যাক্টরি রিসেট নামে একটি অপশন আছে।

ফোন রিসেট করার উপকারিতা

এবার আপনি হয়তো ভাবছেন মোবাইল রিস্টার্ট দিলে কি হয় বা রিসেট করার উপকারিতা কি। আপনি যদি আপনার ফোনটি রিসেট করেন তাহলে আপনার ফোনটি সম্পূর্ণ আগের মত নতুন হয়ে যাবে। আপনার ফোনে পুরাতন যত অপ্রয়োজনীয় ফাইল আপনার মেমোরি ফুল করে রেখেছিল বা মোবাইল স্লো করে দিয়েছিল সব ক্লিন  হয়ে যাবে। ফলে আপনার ফোনের স্পিড বৃদ্ধি পাবে। আবার আপনি যদি ফোনের কোন সেটিং বা কোন সিস্টেম ওলট পালট করে ফেলেন তাহলে আপনি খুব সহজে মোবাইল ফ্যাক্টরি রিসেট করার মাধ্যমে এগুলো ফিরিয়ে আনতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে সবাই ফোন রিসেট করে থাকে। কিভাবে মোবাইল রিসেট দিব এটা নিয়ে ভাবছেন? নিচে বলে দিচ্ছি সব।

মোবাইল রিসেট করার নিয়ম - How to Reset Phone

আপনি যদি আপনার ফোনটি রিসেট করতে চান তাহলে প্রথমে আপনার ফোন থেকে সেটিংস অপশনে যান। একদম সবার শেষে আপনি একটি Backup and Reset নামে অপশন পাবেন। অথবা ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট নামে একটি অপশন পাবেন। একেক মোবাইলে সেটিংসগুলো একেক নামে থাকে। তবে আপনি Reset বা Restart লেখা টি পাবেন। এবার এই রিসেট বা রিস্টার্ট অপশন এ ঢুকুন।

রিসেট অপশন এ ঢুকার পর আপনি সেটিং রিসেট বা ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেট নামে অপশন পাবেন। যদি সেটিং রিসেট থাকে এবং এটাতে ক্লিক করেন তাহলে আপনার সকল সেটিংস আবার নতুন করে রিসেট হবে। অর্থাৎ আপনার ফোনে ডিফল্ট যে সেটিংস গুলো রয়েছে বিশেষ করে ইন্টারনেট সেটিং, সিকিউরিটি সেটিংসহ অন্যান্য সেটিংস আবার নতুন করে আগের মত হয়ে যাবে।

আপনি যদি ফ্যাক্টরি ডাটা রিসেটে ক্লিক করেন তাহলে আপনার ফোনের সব কিছু ডিলিট হয়ে যাবে। তবে এই ডাটা রিসেট দেওয়ার সময় একটা জিনিস খেয়াল রাখুন কিছু কিছু মোবাইলে একটি সেটিংস তাকে যে আপনি আপনার মেমোরির সব কিছু ডিলিট করে দিতে চান কিনা। কিছু মোবাইলে আবার এই অপশনটি থাকেনা। যদি অপশনটি থাকে তাহলে আপনি চাইলে আপনার ফোনের মেমোরি জিনিসগুলো থাকবে নাকি থাকবেনা তা সিলেক্ট করে দিতে পারেন।

তারপর রিসেট বাটন এ ক্লিক করবেন। রিসেট বাটনে ক্লিক করার পর ফোনটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আপনাকে একটা কথা বলে রাখি ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। রিসেট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার ফোনটি অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে এবং পুনরায় চালু হবে সাথে কিছু কাজ রানিং অবস্থায় থাকবে। এখানে আপনাকে কোন কিছুই করতে হবে না। রিসেট হয়ে গেলে ফোনটি আবার নতুন করে ওপেন হবে। তখন আপনাকে হয়তো বা Welcome মেসেজ দেখাবে। কিছু মধ্যে ওয়েলকাম দেখাতে পারে আবার নাও দেখাতে পারে। তবে ফোনটি চালু হবে। চালু হওয়ার পর আপনাকে মোবাইলে ডাটা অন করতে হবে। আপনি চাইলে আপনার সিমের ডাটা অথবা কোন ওয়াইফাই কানেক্ট করে দিতে পারেন।

তারপর আস্তে আস্তে এটি চালু হতে থাকবে। এবার আপনাকে আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করতে বলবে। আপনার ফোনে আগে যে জিমেইল আইডি ছিল আপনি চাইলে ওই জিমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোনটিতে লগইন করতে পারেন। অথবা নতুন কোন জিমেইল আইডি দিয়ে লগইন করে নিতে পারেন। অথবা এটি ইগনোর করতে পারেন। লগইন করার পর আপনাকে হয়তোবা ফোনের ভাষা, সময় সেটিং করতে হবে। ধাপে ধাপে এইসব সেটিংস গুলো করার পর আপনার ফোনটি অটোমেটিক চালু হয়ে যাবে।

ফোনের রিসেট করার আগে করণীয়

ফোন রিসেট করার আগে আপনার মেমোরিতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বা জিনিসগুলো আপনি অন্য কোথাও সরিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে কোন মেমোরি বা পেনড্রাইভে করে এই জিনিস গুলো কপি করে নিয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনার সিমে যদি কোন দরকারি নাম্বার বা মেসেজ থাকে এগুলো আলাদা কোথাও ব্যাকাপ নিয়ে রাখেন। যদিও অনেকের ফোনে একটি সেটিংস থাকে যে রিসেট করলে মেমোরির কোন কিছু ডিলিট হবে না। কিন্তু যাদের ফোনে এই সেটিংস টি থাকেনা তারা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো অন্য কোথাও কপি করে নিয়ে নিবেন। এছাড়াও আপনার ফোনে থাকা প্যাটার্ন লক বা পিন লক ও  জিমেইল এবং পাসওয়ার্ড টি ও সংগ্রহ করে রাখবেন। কারন অনেক মোবাইলে রিসেট করার পর পুরাতন জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড বা ফোনের আগের লক করে রাখা পিন নাম্বার চাইতে পারে। তাই আপনি যদি এগুলো সংগ্রহ করে রাখেন তাহলে খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার ফোনটি রিসেট করে নিতে পারবেন।

রিসেট করার পর আপনার ফোনটি সম্পূর্ণ নতুন হয়ে যাবে। পুরাতন যা কিছু ছিল সব চলে যাবে এবং নতুন মোবাইলে যা যা থাকার সবই থাকবে। এবার আপনি আবার আপনার সুবিধামতো সেটিংস গুলো করে নিবেন।

এভাবেই আপনি খুব সহজে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া খুব সুন্দর ভাবে আপনার ফোন রিসেট করে নিতে পারবেন। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমার এই পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করবেন। নিয়মিত এমন আরও টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ