Header Ads Widget

শিরোনাম

6/recent/ticker-posts

নিজের ফেসবুক আইডির সুরক্ষার জন্য যে তিনটি সেটিংস আপনাকে অবশ্যই জানতে

আমার আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে ফেসবুক এর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সেটিংস নিয়ে আলোচনা করব। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসেবে আপনার এই সেটিংস গুলো অবশ্যই জানা উচিত। তাই এই পোস্টটি ফেসবুক টিপস এন্ড ট্রিকস এর জন্য দারুন হবে।

facebook-security-settings


বর্তমানে আমরা সবাই জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। আবার বেশিরভাগ সময়ই আমাদের ফেসবুক আইডি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় অনেকের আইডি অন্য কেউ চুরি করে ফেলে। এছাড়াও অন্য কেউ আপনার আইডির মেইল ও পাসওয়ার্ড চুরি করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।

এসব কারণে আপনাকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সেটিংস চালু করতে হবে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি সেটিংস এর দিকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই আপনার উচিত এই তিনটি সেটিংস সম্পর্কে জেনে নেওয়া। এই তিনটি সেটিংস এর দ্বারাই আপনার ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত থাকবে।

এবার চলুন জেনে নেই কিভাবে কি করতে হবে। প্রথমে আপনার মোবাইল থেকে ফেসবুক অ্যাপ টি ওপেন করুন। আপনার facebook app ওপেন করার পর আপনার নিউজ ফিড পেয়ে যাবেন। এখান থেকে উপরে ডানপাশে দেখুন তিনটি দাগ আছে। এই তিনটি দাগের উপর ক্লিক করুন। তারপর সবার নিচে settings and privacy নামে যে অপশন আছে সেটাতে ক্লিক করুন। এটাতে ক্লিক করলে সেটিংস নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন। এই সেটিংস এ ঢুকুন।

এবার দ্বিতীয় অপশনটি খেয়াল করুন। এখানে বলা আছে password and security। এটাতে ক্লিক করুন। এটাতে ক্লিক করার পর প্রথমে আপনাকে একটা অপশন দেখাবে। অপশনটি হলো check your important security settings। আপনি এটাতে ক্লিক করুন। তারপর আপনাকে তিনটি সেটিংস দেখাবে।

প্রথমে যে সেটিংসে থাকবে এটি হলো strong password। অর্থাৎ আপনাকে আপনার ফেসবুক আইডির জন্য একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। আপনার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড টি যদি শক্তিশালী হয়ে না থাকে তাহলে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ফেসবুক আইডির জন্য স্ট্রং পাসওয়ার্ড কিভাবে দিবেন তা জানতে নিচের লিঙ্ক থেকে পোস্টটি পড়ে নিতে পারেন। এখানে বলা হয়েছে কিভাবে আপনি ফেসবুকের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করবেন।

ফেসবুকরর জন্য স্ট্রং পাসওয়ার্ড দেয়ার নিয়ম

দ্বিতীয় যে অপশনটা আছে এটি হলো two facetor authentication। এই সেটিংস টি যদি চালু করেন তাহলে কেউ যদি আপনার ফেসবুকে লগইন করতে চায় তাহলে সাথে সাথে আপনার মোবাইল নাম্বারে আপনাকে একটি কোড পাঠানো হবে। তারপর কোডটি যদি ফেসবুকে দেয়া হয় তাহলে ফেসবুক লগইন হবে। তাহলে বুঝতেই তো পারছেন অন্য কেউ যদি আপনার ফেসবুকে ঢুকতে যায় তাহলে সরাসরি আপনি যে মোবাইল নাম্বারটি দিয়ে রাখবেন ওই মোবাইল নাম্বারে একটি কোড চলে আসবে। আর এই কোডটি না দিলে আপনার ফেসবুক একাউন্টে কেউ লগইন করতে পারবে না।

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যদি টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সেটিংস টি চালু থাকে তাহলে তো ভালো। যদি না থাকে তাহলে এটি চালু করার জন্য এই অপশন এর উপর ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর গেট স্টার্ট এ ক্লিক করুন। এবার আপনি তিনটি অপশন পাবেন। এখান থেকে দ্বিতীয় অপশন হল এসএমএস এর মাধ্যমে। আপনি যদি এই অপশনের উপর ক্লিক করেন তাহলে আপনার মোবাইল নাম্বার দেওয়ার জন্য একটি অপশন পাবেন। এখানে আপনার মোবাইল নাম্বারটা দিয়ে দিন। তাহলে সাথে সাথে আপনার মোবাইলে একটি পিন পাঠানো হবে। এই পিনটি এখানে দিয়ে দিন। তারপর ওকে করে দিন। এভাবে আপনার ফেসবুকে two-factor authentication অপশনটি সেট করে নিন।

তিন নাম্বার যে সেটিংস টি আছে সেটি হল লগইন এলার্ট। অর্থাৎ কেউ যদি আপনার ফেসবুকে লগইন করে সাথে সাথে আপনাকে নোটিফিকেশন বা মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই সেটিংসটি যদি চালু করা না থাকে তাহলে এই সেটিংস এর উপর ক্লিক করুন। এবার আপনি ইমেইল, মোবাইল নাম্বার এবং মেসেঞ্জার তিনটি অপশন পাবেন। এই তিনটি অপশন চালু করে দিন। তাহলে কেউ যদি আপনার ফেসবুকে লগইন করে আপনি এই তিনটি মাধ্যমে মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারবেন কেউ আপনার আইডিতে লগইন করেছে।

এই তিনটি ছিল ফেসবুকের গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস। আপনি যদি এই সেটিংস গুলো করে না থাকেন তাহলে খুব দ্রুত সেটিংস গুলো করে নিন। যদি এই সেটিংস গুলো আপনার আগে থেকে করা থাকেন তাহলে এগুলো আর করতে হবে না। আপনি হয়তো ভাবছেন কীভাবে বুঝবেন আপনার এই সেটিংস গুলো করা আছে কিনা। যদি এই সেটিংস গুলো করা থাকে তাহলে এই তিনটি অপশন সবুজ রংয়ের টিক মার্ক দেওয়া থাকবে। আর যদি চালু না থাকে তাহলে এটি ধূসর কালার হয়ে থাকবে।

এটাই ছিল আমার পোষ্টের মূল বিষয়। আশা করি এই ফেসবুক টিপস এন্ড ট্রিকস টি আপনার কাছে ভাল লেগেছে। এমন আরও পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ